র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সাবির্ক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং খুন, অপহরন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মামলা নং-১৭৪/১৩, ধারা- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ৯(১) টেবিল ৩(খ)। উক্ত মাদক মামলায় বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক যাবজ্জীবন কারাদÐ এবং ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা অর্থদÐ অনাদায়ে আরো ০২ (দুই) মাসের বিনাশ্রম কারাদÐে দÐিত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামি মোঃ বাবলু মোল্যা, পিতা-তোতা মোল্যা, সাং-মুনসুরাবাদ, থানা-ভাঙ্গা, জেলা-ফরিদপুর’কে গ্রেফতার করে।
এছাড়া গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ দুপুরে র্যাব-১০ এর অপর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন ভাগ্যকুল এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে রাজধানী ঢাকার কদমতলী থানার মামলা নং-৫৬/১৬, ধারাঃ ১৯(১) এর ১(খ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ১৯৯০। উক্ত মাদক মামলায় বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামি মোঃ সুমন ওরফে বøাক সুমন (৩৫), পিতা-মোঃ আবুল কাশেম, সাং-বাগড়া, থানা-শ্রীনগর, জেলা-মুন্সীগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামিরা উপরোক্ত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। তারা মামলা রুজুর পর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।