কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ কাজী পলাশ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ভূল চিকিৎসায় আফরোজা বেগম (২০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা প্রতিবাদ করলে ক্লিনিক মালিকের লোকজন রোগীর স্বজনদেরকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের নারায়ন খানা বাজারের ইউনাইটেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রসূতি আফরোজা বেগম উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের কালারবাড়ি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম খানের স্ত্রী।
প্রসূতি আফরোজা বেগমের মা মনিকা বেগম বলেন, সকালে আমার মেয়েকে নিয়ে এই ক্লিনিকে এনে ভর্তি করি। দুপুরে ডাক্তাররা অপারেশন রুমে নিয়ে যায়। প্রায় দুই ঘন্টা পরে তারা জানায় আমার মেয়ে আফরোজা ও তার গর্ভের সন্তান মারা গেছে। আমার মেয়ে মারা যায়নি, তাকে ও তার সন্তানকে ডাক্তাররা মেরে ফেলেছে।
তিনি আরো বলেন, আমার মেয়েকে মেরে ফেলার প্রতিবাদ করায় এই ক্লিনিকের লোকজন আমাদেরকে মারধর করেছে। দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার প্রভাষ মন্ডল ও আমি রোগীটিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাই। এরপর রোগীটি হার্টএটাক করে মারা যায়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক ডাক্তার বলেন, ডাক্তার প্রভাষ মন্ডল এ্যানেসথেসিয়া কোন ডাক্তার না। সে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন মেডিকেল অফিসার। তার ভুলের কারণেই এই রোগীর মৃত্যু হতে পারে।
ডাক্তার প্রভাষ মন্ডল বলেন, অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে আমরা রোগীর চিকিৎসা শুরু করার আগেই মৃত্যু হয়েছে। সঠিক তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, এ ঘটনায় মৃত আফরোজা বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : শেখ আবুল কালাম আজাদ
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইল : ০১৯১২-২৮১৫২২ , ইমেইল: dailytungipara@gmail.com
© All rights reserved © 2021 DailyTungipara