কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা মোঃ ইমরান হোসেন ইমু। ঢাকার কেরানীগঞ্জে মডেল থানার কালিন্দী ইউনিয়নের গদারবাগে বসতবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট, প্রতারনা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে এবার সংবাদ সম্মেলন করেছে আপন মামা মো. শাহজালালের বিরুদ্ধে ভাগ্নে মো. সোহেল হোসেন জনি। আজ শনিবার সকলে গদারবাগে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভাগ্নে সোহেল হোসেন জনি বলেন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার গদারবাগে ব্রাহ্মণ কিত্তা মৌজায় সাড়ে ৩ শতাংশ জমির মূল্য বাবদ সাত লাখ আমার মা ২০০৮ সালে আমার মামা শাহজালাল (৪৫)কে দেন। আমার বাবাও বিদেশে থাকা অবস্থা তাকে আরো চার লাখ টাকা দেন। এক পর্যায় মামা বিদেশে চলে গিয়ে লোক মারফতে উক্ত সাড়ে তিন শতাংশ জমিটি আমাদেরকে দখিয়ে দেন। এতে সেখানে আমরা আধাপাকা টিনসেট বাড়ি নির্মান করে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করি। ওই বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়ার সময় দেখা যায় ওই জমি মামা শাহজালালের নামে রেজিস্টিকৃত। বিষয়টি নিয়ে মামার সাথে আলাপচারিতায় মামা বলেন দেশে ফিরে জমিটি তোর মায়ের নামে রেজিস্ট্রি করে দিবো। কিন্তু সে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসে আমার মায়ের নামে জমি রেজিস্ট্রি না করে বিভিন্নরকম তালবাহানা শুরু করেন। এদিকে আমার মামা গোপনে উক্ত জমি বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য পায়তারা করেন। বাড়িটি নিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিক মিমাংসায় বসলেও আমার মামা বিচার শালিশের কোন রায়ই মানেনি। উল্টো আমার মামা আমাদের পরিবারের সকলের নামে পর পর ৪ টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তিনি আরো বলেন ১৬ মে রাতে একটি মিথ্যা মামলায় আমার মা,বাবা বড় বোন ও বড় ভাইকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এ সুযোগে ১৭ মে আমার মামা শাহজালাল এর নেতৃত্বে দিপক, আহসান উল্লাহ ও হৃদয়সহ অজ্ঞাতনামা ১২/১৫ জন লোক সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে ঘরের যাবতীয় মূল্যবান ফার্নিচার ভাংচুর ও লুটপাট করে। লুটপাটের এক সময় তার ঘরের রাখা বিদ্যুৎ বিলের ৫০ হাজার টাকা, ঘরে রক্ষিত উনিশ লাখ টাকা, ১২ ভরি স্বর্নালংকার, ২০ ভরি রুপা, ব্যাংকের মূল্যবান কাগজপত্রাদী ও বাড়ির দলিল পত্রসহ অনান্য মূল্যবান জিনিস পত্র লুট করে নিয়ে যায়। পরে ঘটনাটি আমি জানতে পেরে ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশ আনি। থানা পুলিশ রহস্য জনক ভাবে আমার প্রতি বিরূপ আচরণ করে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ন্যায় বিচার আশা করে বলেন, আমি আইনের সহায়তা চাই, জুলুমবাজ অপশক্তির হাত থেকে তার পরিবার বাঁচতে চায় । এসময় তার পাশে ছিলেন তার পিতা নূর মোহাম্মদ, মাতা নূর নাহার বেগম ও বড় বোন মুক্তা আক্তার প্রমুখ। এদিকে সংবাদ সম্মেলন আনিত অভিযোগে মামা শাহজালাল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে তিনি বলেন, আমার উপর আনিত অভিযোগ সত্য নয়। বরংচ্য আমি ওদের বিভিন্ন সময় সহায্য সহোযোগিতায় করতাম। ওরা আমাকে আরো হয়রানি করতেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : শেখ আবুল কালাম আজাদ
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইল : ০১৯১২-২৮১৫২২ , ইমেইল: dailytungipara@gmail.com
© All rights reserved © 2021 DailyTungipara