র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সাবির্ক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং খুন, অপহরনসহ বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১০ জুন ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন আইজি গেইট এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে ক্রেডিট কার্ড করার নামে অর্থ আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ সজল হাওলাদার (২৭), পিতা- মোঃ ভূট্টু হাওলাদার, সাং-ক্ষিদিরপাড়া, থানা- লৌহজং, জেলা- মুন্সিগঞ্জ, এ/পি- শহিদনগর, থানা- শ্যামপুর, ডিএমপি, ঢাকা, ২। মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৭), পিতা- সহিদ ইসলাম, সাং- বাংশা বাজার, থানা-চাটখিল, নোয়াখালী, এ/পি- কে এম দাস লেন, থানা- ওয়ারী, ডিএমপি, ঢাকা, ৩। আবুল হোসেন (৬৫), পিতা- মৃত রহমান শেখ, সাং- কামারগাও, থানা- শ্রীনগর, জেলা- মুন্সিগঞ্জ, এ/পি- শনির আখড়া, গোবিন্দপুর থানা-যাত্রাবাড়ী, ঢাকা বলে জানা যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তারা ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ছোট ব্যবসায়ীসহ সাধারন মানুষের নিকট হতে বিভিন্ন ব্যাংক হতে ক্রেডিট কার্ড, লোন করিয়ে দেয়ার নামে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র নিয়ে ব্যাংক হতে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করে গ্রাহকদের না দিয়ে নিজেরাই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তলোন করে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল বলে জানায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সজল হাওলাদার (২৭) উক্ত প্রতারক চক্রের মূলহোতা। সে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ছোট ব্যবসায়ীদের ক্রেডিট কার্ড করে অনুপ্রেরণা দিত। উক্ত ব্যবসায়ীরা ক্রেডিট কার্ড নিতে সম্মত হলে সজল তাদের নিকট হতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (এন আই ডি কার্ড, মোবাইল নম্বার, ট্রেড লাইসেন্সসহ খরচ বাবদ বিভিন্ন অংকের টাকা নিত। পরবর্তীতে সজল ও তার সহযোগীরা ব্যাংক হতে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করে গ্রাহকদের না দিয়ে নিজেরাই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তলোন করে নিত। এছাড়া তারা বিভিন্ন ব্যাংক ও সমিতি হতে লোন করে দেওয়ার জন্য খরচ বাবদ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত। এছাড়া বিদেশে লোক পাঠানোর নামে সাধারন মানুষের নিকট হতে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী সাইফুল (৩৭) সজলের প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করত। সে নিজেকে ব্যাংক কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ডের কাগজপত্রে স্বাক্ষর গুলো গ্রহণ করত। পরবর্তীতে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করে গ্রাহকদের পৌছে না দিয়ে কৌশলে সম্পূর্ণ টাকা নিজেরা গ্রহণ করত বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।