কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা মোঃ ইমরান হোসেন ইমুঃ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে কদমতলী এলাকায় মেরি স্টোপস্ বাংলাদেশ নামে একটি মেটারনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নবজাতকটি রোকেয়া ও সাদ্দাম দম্পতির তৃতীয় সন্তান।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, শনিবার (১০জুন) সন্ধ্যা ছয়টায় সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নবজাতকটি জন্মের পর অক্সিজেন স্বল্পতা জনিত জটিলতায় এনআইসিইউ প্রয়োজন হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক বিষয়টি তাদের না জানিয়ে সময়ক্ষেপন করে। পরবর্তীতে নবজাতকের পিতা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। রাত সাড়ে আটটায় মিটফোর্ড হাসপাতালে যাওয়ার সময় পথিমধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে রাত দশটায় ইমামবাড়ী কবরস্থানে শিশুটিকে দাফন করা হয়।
শিশুটির পিতা সাদ্দাম জানান, অপারেশন থিয়েটার থেকে বাচ্চা আমাদের হাতে দেয়ার পর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় বাচ্চাটি নীল হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে ডাক্তারকে জানালে তারা অপেক্ষা করতে বলেন। দুই ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে আমার বাচ্চাটি মারা গেছে, আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ক্লিনিকের ম্যানেজার মোঃ সবুজ মিয়া জানান, শিশুটি জন্মের পর তেমন কোন অসুস্থতা ছিল না তবে পরিবারের পক্ষ থেকে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এমন অভিযোগের পরে আমরা আমাদের নির্ধারিত পেডিকটিসিয়ানের জন্য অপেক্ষা করি। এতে কিছুটা সময়ক্ষেপন হয়েছে। পরবর্তীতে তার আসতে দেরি হওয়ায় তাদেরকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার সময় পথিমধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহজামান জানান এ ধরনের কোন অভিযোগ পাই নাই, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে সরেজমিনে দেখা যায় ক্লিনিকটিতে শিশু জন্মের পর তার কোন সমস্যা হলে তার সমাধান বা সুচিকিৎসা দেওয়ার মত কোন ব্যবস্থা নেই । ক্লিনিক টির এমন নজুক অবস্থায় এভাবে সিজারিয়ান বা ডেলিভারী করা হলে তা অবশ্যই ঝুকিপূর্ন হবে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের জন্য । কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি প্রয়োজন ।