শরীয়তপুর জেলার পালং থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর সাত্তার ফকির হত্যা মামলার এজাহারনামীয় দীর্ঘদিন পলাতক প্রধান আসামি দেলোয়ার@দিলু মাদবর ও তার ২ সহযোগীকে রাজধানীর যাত্রবাড়ী ও চকবাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সাবির্ক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং খুন, অপহরন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ২২:০০ ঘটিকা হইতে অদ্য ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ০০:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন সায়দাবাদ বাস-স্ট্যান্ড এলাকা ও চকবাজার থানাধীন ইমামগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে শরীয়তপুর জেলার পালং থানার মামলা নং-১০, তারিখ-১০/০৬/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/ ৩২৩/ ৩২৫/ ৩০৭/ ৩০২/ ৩৫৪/ ১১৪/৫০৬/৩৪ দন্ড বিধি। উক্ত চাঞ্চল্যকর আব্দুর সাত্তার ফকিরকে নৃশংসভাবে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় দীর্ঘদিন পলাতক প্রধান আসামি ১। দেলোয়ার @দিলু মাদবর (৩৮), পিতা-জামাল মাদবর এবং তার অপর দুই সহযোগী ৩। মিলন ফকির (২৮), পিতা-কামাল @কালু ফকির ও ৪। আরিফ ফকির (২৫), পিতা-কামাল @কালু ফকির, সর্বসাং-দেওভোগ, থানা-পালং মডেল (সদর), জেলা-শরীয়তপুর’দের গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা উক্ত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে।
৩। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গত ০৯/০৬/২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক ২২:৩০ ঘটিকায় ভিকটিম সাত্তার ফকির প্র¯্রাব করার জন্য তার বাসা থেকে বেরিয়ে বাড়ীর পেছনে যায়। অতঃপর পূর্ব হতে ওৎ পেতে থাকা গ্রেফতারকৃত দিলু মাদবর তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে পূর্বশত্রæতার জেরধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাত্তার এর উপর অতর্কিত আক্রমন করে। এসময় তাদের কাছে থাকা লোহার রড, টর্চ লাইট, লাঠি-সোটা ইত্যাদি দিয়ে সাত্তারকে এলোপাথারি মারধর করে এবং মারধর এর একপর্যায় সাত্তার এর গলা চেপে। সাত্তার এর ডাকচিৎকারে তার পরিবারের লোকজন বের হলে তাদেরকেও চড়-থাপ্পর মেরে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে সাত্তারকে মুমূর্ষু অবস্থায় মাটিতে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। পরবর্তীতে সাত্তার এর পরিবারের লোকজন স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় সাত্তারকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। উক্ত হত্যাকান্ডের পর মৃত সাত্তার এর স্ত্রী শরীয়তপুর জেলার পালং মডেল (সদর) থানায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর থেকে আসামিরা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও চকবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিল বলে জানা যায়।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।