১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই ¯েøাগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতারসহ দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও পেশাজীবী মানুষের যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে র্যাব বিভিন্ন এলাকায় আইন শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে। র্যাবের এই অভিযান ও কার্যক্রম দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
২। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যে কোন সময় আইন-শৃঙ্খলা বিঘœ ঘটতে পারে এমন আশংকা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গত ৩১ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনো ধরনের নাশকতা ও জানমালের ক্ষতি করতে না পারে এবং জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাব-১০। চলমান নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ রাজধানীর ব্যস্ততম বিভিন্ন এলাকায় দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।
৩। এরই পরিপেক্ষিতে র্যাব-১০ দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক, পেশাজীবী মানুষের যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং অপরাধ রোধকল্পে ঢাকার যাত্রাবাড়ী, কেরাণীগঞ্জ, ডেমরা, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর এবং ফরিদপুরের সদরসহ র্যাব-১০ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স¦াভাবিক রাখতে র্যাবের বিশেষ চেকপোস্ট এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া র্যাব-১০ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে বিশেষ রোবাস্ট পেট্রোলের মাধ্যমে পর্যাপ্ত টহল পরিচালনা করছে এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা ডিউটিতে রয়েছে।
৪। সর্বোপরি সাধারন মানুষের যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত, দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং নাশকতা রোধকল্পে র্যাব-১০ এর দায়িত্বপূর্ন এলাকায় টহল দল ও গোয়েন্দা সদস্যরা সদা-সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।