র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ছিনতাইকারীসহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। “চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে” স্লোগানকে সামনে রেখে মাদক নির্মূলে র্যাব মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, যশোর হতে একটি লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ীতে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ফেনসিডিল নিয়ে রাজধানী ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল আনুমানিক রাত ২১.৩০ ঘটিকায় তাৎক্ষনিক ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন বদরপুর গ্রামস্থ মন্ত্রীর বাড়ীর সামনে একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে বিভিন্ন গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। গাড়ি তল্লাশির একপর্যায় উক্ত মাদক পরিবহনকারী লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ীতে চেক পোস্টের সামনে আসার সাথে সাথে গাড়িটিকে সিগনাল দিয়ে থামিয়ে উক্ত গাড়ীর ড্রাইভার ও গাড়িতে বসে থাকা অপর ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা এবং যাওয়ার গন্তব্য সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বিভিন্ন ধরনের এলোমেলো কথাবার্তা বলে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা তাদের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করতঃ তাদের গাড়ীতে ফেনসিডিল আছে বলে স্বীকার করে। অতঃপর উক্ত ডাবল কেবিনযুক্ত লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ীর মাঝের কেবিন থেকে তাদের দেখানো ও বের করে দেওয়া হলুদ রংয়ের একটি প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে রক্ষিত আনুমানিক ২,৮৮,০০০/-(দুই লক্ষ আটাশি হাজার) টাকা মূল্য মানের সর্বমোট ১৪৪ (একশত চুয়াল্লিশ) বোতল ফেন্সিডিল ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ আব্দুল সবুর (৪২),পিতা- মৃত আব্দুল মান্নান,স্থায়ী ঠিকানা- বাউনিয়া, বাড়ী নং-২৫৪, থানা-তুরাগ, ডিএমপি, ঢাকা। ২। মোঃ তহিদুল ইসলাম (৩৫), পিতাঃ- মোঃ নুরুল ইসলাম, স্থায়ী ঠিকানা- বিরামপুর ০১ নং ওয়ার্ড, থানা- কোতয়ালী, জেলা- যশোর বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ০১টি লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ী জব্দ এবং ০৩টি মোবাইল ফোন ও নগদ-১,২৯০/- (এক হাজার দুইশত নব্বই) টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ীতে ফরিদপুর ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।