১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সাবির্ক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী, হত্যা, অপহরন ও গণধর্ষনসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায়
২। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ বিকালে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন ঘোষবাগ এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে রাজধানী ঢাকার কদমতলী থানার মামলা নং-৭৬(১)২১, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর ১০(গ); মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামী মোঃ শরিফুল আলী, পিতা-নুর ইসলাম, সাং-দুবাছরি বাসাসপাড়া, থানা-নীলফামারী সদর, জেলা-নীলফামারী’কে গ্রেফতার করে।
৩। এছাড়া একই তারিখ রাতে র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলার গাজীপুর থানাধীন জয়বাংলামোড় এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে রংপুর জেলার গংগাচড়া থানার মামলা নং-২৭২/০৩, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/০৩) এর ৯(১); ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামী সুজাল উদ্দিন, পিতা-কোনা মাসুদ, সাং-দক্ষিন পানাপুকুর, পোঃ-রামগঞ্জ, থানা-গংগাচড়া, জেলা-রংপুর’কে গ্রেফতার করে।
৪। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা উল্লেখিত মামলার পলাতক আসামী বলে স্বীকার করেছে। তারা মামলা রুজুর পর থেকে ঢাকার আশুলিয়া ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।
৫। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।