কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা মোঃ ইমরান হোসেন ইমুঃ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে গত ১লা অক্টোবর শনিবার ভোরে চরকুতুব খালপাড় এলাকায় সবজি ব্যবসায়ী শুক্কুর আলী হত্যার ঘটনায় ৫ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় হত্যাকান্ড ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার চাকুটি উদ্ধার করা হয়েছে। মুলত মাদকের টাকা যোগাড় করতে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলো: ইমন (২০), রুবেল (৩২), দিপু (২২),মন্টু (২০) , হানিফ (২৮)। এরা সবাই কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করত। রবিবার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান নিজ কার্যালয় সাংবাদিকদের জানান, কদমতলী গোল চত্বর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে প্রথমে ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জের আমবাগিচাথেকে ৩ জন ও রাজশাহী চারঘাট এলাকা থেকে আরো ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আসামি পলাতক রয়েছে। ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে জানাগেছে, ঘটনার দিন মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য আসামীরা সারারাত ছিনতাই করার জন্য টার্গেট খুজঁছিলো। কিন্তু সারারাত তারা কোন সহজ টার্গেট খুজে পায়নি। এক পর্যায়ে ভোর বেলায় তারা বেশ উগ্র হয়ে যায়। এমন সময় নবাবগঞ্জ থেকে আসা সবজি ব্যবসায়ী শুক্কুর রিকশায় করে সবজি কেনার উদ্দেশ্যে আমবাগিচ খালপাড় রাস্তা দিয়ে ঢাকার শ্যামবাজার সবজির আড়তে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ইমন ও রুবেল শুক্কুরের রিকশা গতিরোধ করে। রুবেল রিকশা আটকে রাখে এবং ইমন সবজি ব্যবসায়ী শুক্কুরকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করে। এসময় দিপু, মন্টু ও হানিফ রাস্তা পাহারা দিচ্ছিল যাতে কোন লোক দেখে না ফেলে। ছিনতাইয়ের পর ইমন ও রুবেল শুক্কুরের কাছে থাকা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে গিয়ে সবাই মিলে মাদক সেবন করে। গ্রেপ্তারকৃত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ জামান। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ জামান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হলে ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।