র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ছিনতাইকারীসহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। “চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে” ¯স্লোগানকে সামনে রেখে মাদক নির্মূলে র্যাব মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ সকাল হতে রাত পর্যন্ত র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আনুমানিক ১৪,০০,০০০/- (চৌদ্দ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ২,৮০০ (দুই হাজার আটশত) পিস নেশাজাতীয় বুপ্রেনরফিন ইনজেকশনসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের নাম ১। মোঃ বাবু (৩৫), পিতা-মৃত আব্দুল হামিদ, সাং- চরকুতুব উত্তরপাড়া, থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা ২। মোঃ দাউদুল ইসলাম @ দুলু (৫১), পিতা-মৃত আজগর আলী মন্ডল, সাং-পাউশপাড়া (ডাঙ্গাপাড়া বাজারের পার্শ্বে), থানা-হাকিমপুর, জেলা-দিনাজপুর ৩। মোছাঃ ফাতেমা বেগম (৬০), স্বামী-মৃত গফুর মিয়া, পিতা-মৃত আব্দুর রহমান, সাং-চরকুতুব উত্তরপাড়, নতুন শুভাঢ্যা দারোগাবাড়ী (জনৈক গফুর মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা বলে জানা যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে বুপ্রেনরফিন ইনজেকশনসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, এই বুপ্রেনরফিন ইনজেকশন সাধারণত রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক হিসেবে শরীরে প্রয়োগ করায়। তবে বর্তমানে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে অধিক পরিমাণ নেশাদ্রব্য উপাদান মিশিয়ে মাদক হিসেবে এটি বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। বুপ্রেনরফিন ইনজেকশন সরাসরি ভেইনে নেয়া হয়। এই ভয়াবহ বুপ্রেনরফিন ইনজেকশনটি নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীর শরীরে নেশার প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিশেষ করে প্যাথেডিন এবং হেরোইন নিয়েও যাদের কাজ হয় না, তারা এই ভয়াবহ মাদকটি ব্যবহার করে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।