মো: রশীদুজ্জামান: আমার নির্বাচনী এলাকা পাইকগাছা -কয়রার সকল সম্মানিত নাগরিক কে বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আপনাদের ভালবাসা, স্নেহ, মমতায় আমি সিক্ত হয়েছি, ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করেছেন এর জন্য আমি আপনাদের কাছে চির ঋণী হয়ে থাকবো।
বর্তমান সময়ে আমি দু’একটি বিষয় করজোড়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। প্রথমত, আমি লক্ষ্য করছি, এই সময়ের মধ্যে এলাকায় যে সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা সামাজিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানে আমি উপস্থিত থাকতে না পারলেও আমার নাম ব্যানার বা পোস্টারে প্রধান অতিথি হিসেবে লিখছেন। এটা আমার পছন্দ নয়। আমার বক্তব্য, যেখানে আমি থাকবো, সেখানে যদি আমি উপযুক্ত হই তবে আমাকে প্রধান অতিথি করতে পারেন, কিন্তু আমি যেখানে থাকতে পারবো না সেখানে আমাকে প্রধান অতিথি না করে এলাকার কোন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে সম্মানিত করার জন্য অনুরোধ থাকলো।
দ্বিতীয়ত, এলাকার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এম.পি হিসেবে আমাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ, আপনারা কোন প্রকার আনুষ্ঠানিকতা, ফুল দিয়ে বরণ করা বা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের দাঁড় করিয়ে শোভা বর্ধন করা এ কাজ গুলো না করার জন্য অনুরোধ থাকলো। এ ধরনের আনুষ্ঠানিকতায় আমি অস্বস্তি বোধ করি এবং আমার স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়। আমার পরামর্শ, আপনারা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নকল্পে একটি পরামর্শসভা বা একটি মতবিনিময় সভা করবেন অনানুষ্ঠানিকভাবে।
আমার পিতা, মাতা আদর করে আমার একটা নাম রেখেছিল। সেই নামটাই আমার কাছে প্রিয় নাম। এই নামেই আমি আপনাদের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। আপনাদের ভোটে এম. পি নির্বাচিত হয়েছি। এম. পি থাকবো সংসদে, এম. পি, থাকবো অফিস- আদালতে। আপনাদের মাঝে থাকতে চাই, কারো ভাই, চাচা, মামা, খালু, দাদা, নানা ইত্যাদি। যারা আমার বন্ধু, যারা আমার বয়োজ্যেষ্ঠ, যারা নাম ধরে ডাকতে অভ্যস্ত, তারা নাম ধরে ডাকলে খুশি হবো। আশা করি আমার কথাগুলো সকলে বিবেচনায় নিবেন। আমাকে আমার মত করে আপনাদের মাঝে সাধারণ ভাবে থাকতে দিন। তাহলে মনের আনন্দে কাজ করতে পারবো।
লেখক: এমপি রশীদুজ্জামান মোড়ল,
১০৪, খুলনা-০৬ (কয়রা-পাইকগাছা)।