বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন

কেরানীগঞ্জের চেয়ারম্যান আতিকুল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলার মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি গ্রেফতার

কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা মোঃ ইমরান হোসেন ইমু
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৯৮ বার পড়া হয়েছে

 কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা মোঃ ইমরান হোসেন ইমুঃ

ঢাকার কেরানীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক প্রধান আসামি (সাবেক মেম্বার) গোলজার হোসেনকে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ঢাকার সূত্রাপুর একটি বাসা তাকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল)মো. শাহাব উদ্দিন কবির। তিনি জানান, আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ঢাকার সূত্রাপুর একটি বাসা থেকে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ থানার ওসি শাহ জামান ও তদন্ত ওসি মাসুদুর রহমানের সহযোগিতায় পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তিতে রাজধানীর সূত্রাপুর (ডিএমপি) এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতিকুল্লাহ চৌধুরীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার প্রধান আসামি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তিনি আরও জানান, গত ১০ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখ বিকালে কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে নৃশংসভাবে হত্যা পর মরদেহের পরিচয় গোপন করা জন্য গোলজারের নির্দেশে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে ১২ ডিসেম্বর ২০১৩ সালে আতিক উল্লাহ চৌধুরীর ছেলে ফারুক চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ গুলজারসহ আটজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২ ডিসেম্বর ২০২০ সালে আসামি গুলজার, তাজুল ইসলাম তানু, জাহাঙ্গীর ওরফে জাহাঙ্গীর খাঁ, আহসানুল কবির ইমন, রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন, শিহাব আহমেদ শিবু, মো. আসিফ দের আতিক উল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত করেন। ইতোপূর্বে অন্যান্য আসামিরা গ্রেফতার হলেও উক্ত মামলার প্রধান আসামি গোলজার, রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন, শিহাব আহমেদ শিবু, আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি জানান, সাবেক মেম্বার গোলজার হোসেন দীর্ঘ দিন পলাতক থাকলেও নিজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না। মোবাইল ব্যবহার না করলে তিনি বাংলাদেশে আছেন এটা আমরা নিশ্চিত হই। তার ছেলে, মেয়ে স্ত্রীর চলাচল গতিপথ অনুসরণ করতে সোর্স ব্যবহার করি। কে কখন কোথায় যায় সেই গতিপথ অনুসরণ করি। পরে আমরা নিশ্চিত হই গোলজার হোসেন স্ত্রীকে নিয়ে সূত্রাপুর এলাকায় একটি বাসায় আছে। তার বাসায় তাকে ঘুমানো অবস্থায় গ্রেফতার করি। এ সময় তার সঙ্গে স্ত্রী কেউ পাই। উল্লেখ্য এ মামলায় এখনো দুই আসামি পলাতক আছে। তারা হলেন- মো. রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন, শিহাব আহমেদ শিবু। দন্ডপ্রাপ্ত বাকি দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকুল্লাহ চৌধুরী ছেলে বর্তমান কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান চৌধুরী ফারুক তার বাবার হত্যাকারী প্রধান আসামি সাবেক মেম্বার গোলজার হোসেন গ্রেপ্তার করায় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি কেরানীগঞ্জ সার্কেল ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন কবিরকে ধন্যবাদ জানান। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করার জন্য সরকার প্রতি আহবান জানান। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) সরজিৎ কুমার ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকুল্লাহ চৌধুরী ছেলে বর্তমান কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান চৌধুরী ফারুক, এস আই নাজমুস সাকিব, হিরন কুমার বিশ্বাস।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর