গত ২৫/০২/২০২৫ তারিখে রাত অনুমান ২২.৩০ ঘটিকায় ভিকটিম মো: সিদ্দিক মিয়া (৪৭) (ব্যবসায়ী), পিতা- মৃত তারা মিয়া, সাং- কয়লাঘাট, ছাতা মসজিদ রোড, থানা- কামরাঙ্গীরচর, ডিএমপি, ঢাকা এর নিকট হতে আসামি তাজুল ইসলাম @ তাজল (৪৫), পিতা- মৃত মবু মিয়া, সাং- মুসলিমবাগ, থানা- কামরাঙ্গীরচর, ডিএমপি, ঢাকা’সহ অন্যান্য সহযোগী আসামিগণ ভয়ভীতি প্রদর্শন ও খুন-জখমের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ১,৩৭,০০০/- (এক লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজার) টাকা চাঁদা আদায় করে। পরবর্তীতে উক্ত আসামিরা বিভিন্ন সময় আরও ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে। সর্বশেষ, গত ০৪/০৮/২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ১৭.০০ ঘটিকায় ভিকটিমের নিকট দাবীকৃত চাঁদার অর্থ চাইলে ভিকটিম তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এলাকায় ব্যবসা করতে না দেয়ার হুমকি দেয় এবং ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে ডিএমপি, ঢাকা এর কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরবর্তীতে উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নং- ১২, তারিখ- ১০/০৮/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা- ৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ পেনাল কোড, ১৮৬০ অনুযায়ী মামলা রুজু হয়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অধিনায়ক, র্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। প্রাপ্ত অধিযাচনপত্রের আলোকে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে আসামিদের অবস্থান শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারের কার্যক্রম শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৯/০৮/২০২৫ তারিখ বিকাল আনুমান ১৫.৫০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ডিএমপি, ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানাধীন লোহার ব্রীজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত চাঁদাবাজি মামলার এজাহারনামীয় আসামি তাজুল ইসলাম @ তাজল (৪৫), পিতা- মৃত মবু মিয়া, সাং- মুসলিমবাগ, থানা- কামরাঙ্গীরচর, ডিএমপি, ঢাকা’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।