রাজশাহী প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন-৫৩ বিজিবি, ডিএমসি বিওপি গোদাগাড়ীতে মাদকের সম্রাট পিয়ারুল ও সেন্টু মেম্বারসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে হেরোইন উদ্ধার মামলায় পলাতক আসামী করা হয়েছে। তবে পলাতক আসামী থেকে নাম কাটাতে মরিয়া হয়ে আছেন পলাতক মাদক কারবারিরা।
১৮ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন-৫৩ বিজিবি, ডিএমসি বিওপি’র নায়েক সুবেদার শাহ আলম বাদি হয়ে উক্ত মামলা করেন। মামলাটি গোদাগাড়ী থানা তদন্ত করছেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ১৮ জানুয়ারী রাত ১১ টার দিকে কতিপয় মাদক কারবারি মাদক পাচারের লক্ষে গোদাগাড়ী থানার দিয়ার মানিকচক সিমান্তে অবস্থান করছে। ডিএমসি বিওপি’র টহল সংবাদ পেয়ে সেখানে গেলে মাদক কারবারি পিয়ারুল, সেন্টু মেম্বার, সামাদ, আনারুল, রুহুল আমিন, মাদকসহ কাটা তাঁর পাড়াপাড়ের মই ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে গোদাগাড়ী উপজেলার সায়লা গ্রামের তরিকুলের ছেলে রায়হানকে (২০) আটক করেন বিজিবি’র টহল টিম। সেসময় রায়হানের নিকট থেকে ১০ টি হেরোইনের প্যাকেটে ১ কেজি ১৩ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়। পলাতকদের ফেলা যাওয়া হেরোইন প্রায় ৪২২ গ্রাম সেখানে পাওয়া যায়। ধৃত আসামী রায়হান অর্ধশত গ্রামবাসীর সামনে স্বীকার করেন পলাতক মাদক কারবারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ কোদালকাটি (জেলেপাড়া) গ্রামের শাহজাহান আলী’র ছেলে সেন্টু মেম্বার, আব্দুল খালেকের ছেলে পিয়ারুল, বাদেক আলীর ছেলে সামাদ, আব্দুল হাকিমের ছেলে রুহুল আমিন ও গোদাগাড়ী থানার মোল্লাপাড়া গ্রামের কাশেমের ছেলে আনারুলসহ আরো কয়েকজন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তি।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোদাগাড়ী’ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন।
তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন-৫৩ ডিএমসি বিওপি’র উদ্ধার করা মাদকসহ রায়হানসহ শীর্ষ কিছু মাদক কারবারি’র নামে উক্ত মামলা হয়।
উল্লেখ্য, সেন্টু মেম্বার ও পিয়ারুলসহ কয়েকজন সে এলাকার মাদকের গডফাদার বলে জানান এলাকাবাসী।