১। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে ।
২। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৩/০১/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক মাঝ রাত ০৩:০০ ঘটিকা হতে অদ্য ২৩/০১/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক সকাল ১০:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের শাক-বাজার মাছের আড়তে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় জেলা মৎস্য অধিদপ্তর এর সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তার উপস্থিতিতে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লেখিত এলাকায় জাটকা ইলিশ ও জেলিযুক্ত চিংড়ি সংরক্ষন ও বিক্রয় করার অপরাধে ০৪ জন মাছ ব্যবসায়ীকে সর্বমোট ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। যার মধ্যে ১। মোঃ শামীম হোসেন (৩৭) ’কে নগদ- ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, ২। মোঃ সবুর গাজী (৩০)’কে নগদ- ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) ৩। ওতুল কৃষ্ণ দাস (২৪) ’কে নগদ- ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) ৪। মোঃ আবু বক্কর (৪০) ’কে নগদ- ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত আনুমানিক ৬,৩০,৫০০/- (ছয় লক্ষ ত্রিশ হাজার পাচঁশত) টাকা মূল্যের ১১৭০ কেজি জাটকা ইলিশ ও ৬৫ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করে এবং জব্দকৃত জাটকা ইলিশ বিনামূল্যে এতিম খানায় দান করেন এবং জেলিযুক্ত চিংড়ি ধ্বংস করেন।
৩। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা জাটকা ইলিশ ও জেলিযুক্ত চিংড়ি সংরক্ষন এবং বিক্রয় করে আসছিল।