রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ অপরাহ্ন

নারায়ণগঞ্জ পঞ্চবটি বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় গার্মেন্টসের ঝুটের ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে দফায় দফায় মারামারি

নারায়ণগঞ্জ, প্রতিনিধি:মোঃ আতাউর রহমান (আত)
  • আপডেট সময় রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আতাউর রহমান (আত) নারায়ণগঞ্জ, প্রতিনিধি:

দখলের রাজত্বটা অনেকেই বিশ্বাসী অনেক মানুষ খবরও রাখেননা এই সকল নাশকতার রূপকাঠির টাকার ঠিকানার সন্ধান জেনেও যায়না। প্রায় ঘটে যাওয়া অনেক কিছুই ঘটে বড়ো হলেই কিছু রটে। গত ২৯ তারিখে দিনটি সকাল থেকে ১২টা পর্যন্ত হয়ে গেলো যুদ্ধ বিসিক শিল্পনগরী একাকায় দুই নাম্বার গেটের তিন নং গলিতে। মার্টিন নীট ওয়ার সামনে অতর্কিত হামলা চালায় বিএনপির নেতা জাহাঙ্গীর গংরা স্বীকার হোন এলাকার অনেক লোকজন ও শ্রমিকেরা।দোকানগুলোকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে ভাংচুর লুটপাট করে ক্যাশে রক্ষিত টাকাপয়সা ছিনাইয়া নিয়া যায় ফ্রিজে থাকা সব মালামাল নিজের মনে করে ছিনাইয়া নিয়া গেলেন গরীব মানবদের আত্মা থেকে ছোবল দিয়ে সামনে বেরে অগ্রসর হয়েছেন বিএনপির সেচ্ছাসেবক দলের থানা কমিটির সদস্য সচিব নেতা রাসেল মাহমুদের বাড়িঘরের দিকে।নসিব ভালো গেইট বন্ধ থাকার কারণে ভিতরে ঢুকতে সম্ভব হয়নি চেষ্টা করেছিলেন চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে গেটের সামনে যা কিছু পাইছে সব কিছুই ভাংচুর করে দোকানগুলোকে কুপিয়ে সব কিছুই তছনছ করে দেন হামলাকারী বিএনপির নেতা জাহাঙ্গীর গাংরা নাশকতা করে চলে যায়। কিছুক্ষন সময় অতিবাহিত না হতেই আবারও হামলা দিলেন বিএনপির নেতা জাহাঙ্গীর সাথে আরো সাঙ্গপাঙ্গরা ঢালাই সিরাজ,ইকবাল, ও বোরহান (গং)দেরকে নিয়া তিন নং গলিতে হামলা চালায় হাতে থাকা অস্ত্র শস্ত্র সজ্জিত হয়েই তছনছ করে দিলেন গোটা এলাকাটা শুরু হলো দাওয়া পাল্টা দাওয়া উভয়ের মাঝেই আহত হয়েছেন ১০/১২ জন আহতরা হলেন শ্রমিক রাকিব (১৮) দোকানদার শাহাদাত (৩০)শ্রমিক রিয়াজ (১৮)সিয়াম (২৭), শাওন আরো অনেকের সন্ধান মিলেনি তো আতংকে আছেন গোটা এলাকার সাধারণ মানুষেরা।এলাকার লোকজন থানায় খবর দিলে আসি বলে আর খবর নাই। অপেক্ষা করে সেনাবাহিনীকে ফোন দিয়ে কোনো রেজাল্ট নাই পরে বিকেল ৪.১০ মি: সময় খবর পেয়ে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে চলে যান।

বিএনপির নেতা রাসেল মাহমুদ বলেন বছরের পর বছর গার্মেন্টসের ওয়েস্টেজের ঝুটের ব্যবসা করে আসছি প্রতিটা মালিকের সাথে সুসম্পর্ক রেখে।সকালে আমার লোকজনকে পাঠাই গার্মেন্টস থেকে ঝুট কিনে আনার জন্যে। ঝুট কিনতে গিয়ে দেখেন একি এলাকার বিএনপির নেতা জাহাঙ্গীরের লোকজনেরা একি গার্মেন্টসের ঝুট কিনে আনার জন্যে ভিতরেই ঢুকছেন। ঝুট নিয়া দুই গ্রুপের লোকজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয় পরে হাতাহাতি হয় হালকা পাতলা। সেই অজুহাত নিয়া বিএনপির আরেক নেতা জাহাঙ্গীর মুরব্বি আরো মুরব্বিরা সাথে করে সাঙ্গপাঙ্গদেরকে নিয়া অস্ত্র শস্ত্র সজ্জিত হইয়া জিজ্ঞাসা করার মিথ্যা কথাটা বলে তিন নং গলিতে ভিতরে ঢুকেই শুরু করেছেন গণপিটুনি সহ কুপিয়ে ভাংচুর লুটপাট নাশকতার কর্মকাণ্ড করেন।দোকানগুলি ভাংচুরে করে ধ্বংস করে দিয়েছেন দোকানের ক্যাশে রক্ষিত টাকাপয়সা ছিনাইয়া নিয়া গেছেন। দোকানদারেরা জান লইয়া পালাইছেন অনেকের বাড়িঘরে ঢুকতে চেষ্টা করেন ভাংচুর লুটপাট নাশকতার কর্মকাণ্ড করার জন্যে। তা না পেরে গেটের সামনে যা কিছু ছিলো কুপিয়ে লান্ড ভন্ড করে দিয়ে গেলো বিএনপির নেতা জাহাঙ্গীরে ও সাথে থাকা আরো লোকজনেরা। মা-বোন মহিলারা প্রতিবাদ করলে মহিলাদের উপরেও অন্যায় ভাবে নানান কৌশলে অত্যাচার নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা জাহাঙ্গীর গংদের নামে।

বিএনপির থানা কমিটির সেচ্ছাসেবদলের নেতা জাহাঙ্গীর বলেন আমরা সব সময় বিসিকের গার্মেন্টসে ঝুট কিনে ব্যবসা করি সকালে লোকজনকে পাঠাই ঝুট কিনে আনার জন্যে তারা গার্মেন্টসে গিয়ে দেখেন ঝুট কিনে নিয়া যাচ্ছেন বিএনপির নেতা রাসেল মাহমুদ গংরা। তাদের নিষেধ করলে তারা মারধর করেন আমার লোকজনকে। তাই আমি মুরব্বি আরো মুরব্বিদের এবং সাথে আরো লোকজনদের নিয়া জিজ্ঞাসা করতে গেছি বিএনপির থানা কমিটির সেচ্ছাসেবকদলের নেতা রাসেলের তিন নং গলিতে। রাসেলের লোকজনেররা আমাদেরকে দেখে হামলা ও আক্রমণ করেন আমরা জান নিয়া দৌড়ে বাঁইচ্চা আইছি বাড়িঘরে গলির ভিতরে ঢুকতে পারিনি। এরপরই ধাওয়া পাল্টা দাওয়া শুরু হয়েছে ৮/১০ জন আহত হয়েছেন। ঝুট নিয়েই মারামারির সৃষ্টি ।বিএনপির থানা কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীরের বক্তব্য।

এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ভুক্তভোগী লিজা আক্তার জানালেন বরিশাইল্ল্যা জাহাঙ্গীর,ঢালাই সিরাজ, ইকবাল, ও বোরহানদের অনেক লোকজনের হাতে অস্ত্র শস্ত্র সজ্জিত হয়ে এই গলির ভিতরে ঢুকে নেতা রাসেলের বাড়িঘরে উদ্দেশ্য নিয়া ভাংচুর লুটপাট নাশকতার কর্মকাণ্ড করতে চেয়েছিলো তাদের দেখেই সাথে সাথে গেইট বন্ধ করে দিয়েছি আমি।ভিতরে ঢুকতে না পেরে গেটের সামনের দোকানগুলিকে ভাংচুর লুটপাট নাশকতার কর্মকাণ্ড করে ক্যাশে রক্ষিত টাকাপয়সা ছিনাইয়া নিয়া যায় তিনজন আহত হয়েছেন একজন শ্রমিকও কোপ খেয়েছে পরিচয় জানা গেছে সবাই হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে হামলাকারী হামলা দিয়ে চলে গেলো।
কিছু সময় না যেতেই ফের আবার আচমকা হানা দেন এসময় আরো লোকজনকে পিটিয়েছেন অনেক শ্রমিকরাও মারধর খেয়ে আহত হয়েছেন দোকানগুলিক দু’বার নির্যাতন করলেন।আমরা দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি করছি এবং যা লুটপাট করেছে সেগুলোর ক্ষতিপূরণ চাই।

সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন ঝুট সন্রাসী দেখেছি,আপনারাও তাই করছেন কিনা ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নেতা জাহাঙ্গীর বলেন,আমরা কোনো সংঘর্ষ চাইনা।আমরা মালিকদের বুঝিয়েছি,দলিও পরিচয় পরে,আমরা এই এলাকায় যেহেতু,আপনারা আমাদের কিছু দেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর