রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ অপরাহ্ন

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামী মিজানুর রহমান @ মিজান’কে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা ইমরান হোসেন ইমুঃ
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক দুপুর ১৪:০৫ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর নয়ামাটি এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে রাজধানী ঢাকার হাজারীবাগ থানার মামলা নং-২৯(৪)২০১৯, বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫, ঢাকার নারী-শিশু মামলা নং-২৭০/১৯; ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১); ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ১,০০,০০০/- টাকা জরিমানা এবং পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২ এর ৮(১); মামলায় আরো ০৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ও ১,০০,০০০/- টাকা জরিমানা দন্ডে দন্ডিত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামী মোঃ মিজানুর রহমান @ মিজান (৪৬), পিতা-মৃত তালেব শিকদার, সাং-শনিরআখড়া, থানা-কদমতলী, ঢাকা’কে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, রাজধানীর হাজারিবাগ এলাকায় বসবাসকারী কলেজ ছাত্রী ভিকটিম (১৯) এর সাথে আসামী মিজানের পরিচয় হয়। অতঃপর মিজান ভিকটিমকে ইউরোপের উন্নত দেশে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভনসহ বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে প্রেমের ফাদে ফেলে। তাদের মধ্যে লাপাচারিতার একপর্যায় মিজান ভিকটিমের বাসায় আসতে চাইলে ভিকটিম সরল বিশ্বাসে মিজানকে তাদের বাসায় আসতে বলে। মিজান ভিকটিমের সরলতার সুযোগ নিয়ে বিদেশে নিয়ে যাওয়া প্রলোভন ও বিয়ের প্রলোভনসহ দেখিয়ে জোর পূর্বক ভিকটিমকে ধর্ষণ করে এবং গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে মিজান উক্ত ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে জোড় পূর্বক ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। উক্ত ঘটনার পর ভিকটিম মিজানের প্রতারণার স্বীকার হয়েছে বুঝতে পেরে রাজধানী ঢাকার হাজারীবাগ থানার আসামী মিজানের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা রুজুর পর মিজান পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে সে আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, আসামী মিজান বেশ কয়েক বছর প্রবাশে ছিল। পরবর্তীতে সে দেশে এসে বিভিন্ন মেয়েদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে উইরোপের উন্নত দেশে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাদে ফেলত। অতঃপর তাদের কাছ থেকে টাকা প্রয়সা আত্মসাৎ ও প্রতারণার মাধ্যমে বাধ্য করে ধর্ষণ করত। গ্রেফতারের পুর্বে মিজান নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিজের নাম ও পরিচয় গোপন করে আত্মগোপনে ছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর