র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সাবির্ক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং খুন, অপহরন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন মামলার সাজপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০১ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত ১২.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও র্যাব-৪,সাভার এর সহযোগীতায় রাজধানী ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন ডেন্ডাবর এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে খুলনা জেলার খলিশপুর থানার মামলা নং-১০, তারিখ-১৬/০৯/২০১১ খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ৮/৩০। উক্ত মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ০৬ (ছয়) বছরের শিশুকন্যাকে অপহরণ মামলায় বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক যাবজ্জীবন কারাদÐে দÐিত সাজা ওয়ারেন্টভুক্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামি মোঃ আরিফ হোসেন (২৮), পিতা-মোঃ শাহজাহান ঘরামী, সাং-ক্রোকিরচর, থানা-কালকিনি, জেলা-মাদারীপুর’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গত ০৮/০৯/২০১১ খ্রিঃ তারিখ গ্রেফতারকৃত আরিফ ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে পরসপর যোগসাজসে মুক্তিপনের উদ্দেশ্যে হনুফা বেগম (৩৫) স্বামী-সেলিম হাওলাদার, সাং-ওয়ারলেস এ্যাপ্রোচ রোড, থানা-খালিশপুর, জেলা-খুলনা এর ০৬ (ছয়) বছরের শিশু কন্যা রহিমা’কে উল্লেখিত এলাকায় তাদের নিজ বাসা থেকে সুকৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর অপহরণকৃত শিশু ভিকটিমের মা খালিশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন যার জিডি নং-৫৩৫, তারিখ- ১১/০৯/২০১১ খ্রিঃ। অতঃপর উক্ত জিডি তদন্তের একপর্যায়ে খালিশপুর থানা পুলিশ গত ১৫/০৯/২০১১ ও ১৬/০৯/২০১১ খ্রিঃ তারিখ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত অপহরণের সাথে সম্পৃক্ত আরিফসহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করতঃ অপহরণকৃত শিশু ভিকটিম রহিমা (০৬)’কে উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার কর্তৃক খুলনা জেলার খালিশপুর থানায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা রুজু করা হয়। উক্ত মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ যথানিয়মে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটির বিচারকার্য সমাপ্ত করে মোঃ আরিফ হোসেন’কে যাবজ্জীবন কারাদÐ সাজা প্রদান করে। মামলার বিচার শুরুর পুর্বেই তদন্ত চলাকালীন গ্রেফতারকৃত আরিফ বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায় হয়। র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পূর্বে সে রাজধানী ঢাকার আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।