১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সাবির্ক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অপ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী, হত্যা, অপহরন ও গণধর্ষনসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০৩ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিন সন্ধ্যা ১৮.০০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং র্যাব-১ এর সহযোগীতায় গাজিপুর জেলার কালিয়াকৈর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ফরিদপুর জেলার সদরপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর মান্নান হত্যার ঘটনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত অন্যতম প্রধান হত্যাকারী পলাতক আসামি মোঃ সোহেল মল্লিক (৩০), পিতা- দিলো মল্লিক, পালক পিতা-মালেক, সাং-চর ডুবাইল, থানা-সদরপুর, জেলা-ফরিদপুর’কে গ্রেফতার করে।
৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, পূর্ববর্তী জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ২২/০৫/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ১৯:০০ ঘটিকায় ধৃত সোহেল মল্লিক ও তার অন্যান্য সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে ভিকটিম মান্নান বেপারী (৫০) পিতা-মৃত করম বেপারী, সাং-রাজার চর, ওয়াজ হাওলাদার ডাঙ্গী, থানা-সদরপুর, জেলা-ফরিদপুর’কে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের পূর্বপরিকল্পিত ঘটনাস্থল ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানাধীন রাজারচর ওয়াজ এলাকার একটি রাস্তায় পাশে ওৎ পেতে থাকে। পরবর্তীতে ভিকটিম মান্নান উল্লেখিত এলাকার পাকা রাস্তায় উপর পৌছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সোহেল মল্লিক ও অন্যান্য আসামিরা ভিকটিম মান্নানকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের কাছে থাকা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ী মারধর করে মারাত্মক রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। উক্ত ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় ভিকটিম মান্নানকে সদরপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সংক্রান্তে মান্নান এর ভাই মোঃ রজ্জব আলী বেপারী (৪৫) ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানায় গ্রেফতারকৃত আসামি সোহেল মল্লিকসহ ১১ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-১৪(০৫)২৩, ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৪/৩২৬/৩৬০/৩৭৯/
৪। অতঃপর ভিকটিম মান্নানকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান অবস্থার অবনতি ঘটলে মান্নানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অতঃপর গত ১১/০৬/২০২৩ ইং তারিখ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম মান্নান মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ভিকটিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় উল্লেখিত মামলাটি পেনাল কোড ১৪৩/ ৩৪১/ ৩২৪/ ৩২৬/ ৩৬০/ ৩৭৯/১১৪/৩০২ ধারা মুলে একটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে উক্ত হত্যাকাÐের সাথে জড়িত সকল আসামিরা আত্মগোপনে চয়ে যায়।
৫। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী হত্যার ঘটনার সহিত তার সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।