ডেস্ক রিপোর্টঃ রাজশাহীতে গত ২ অক্টোবর কিস্তির টাকা দেরিতে দেওয়াকে কেন্দ্র করে চোখ অঙ্গহানির চেষ্টায় কেরেছে ওয়ালটন অফিস ম্যানেজারও তার কর্মচারীরা। তারা একরকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে। জানা যায় মহানগরীর ডিংগাডোবা মোড়ে পাশে গ্রাহকের নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। গ্রাহক হোসনে আরা বুলবুলি বলেন আমি শালবাগান ওয়ালটন শোরুম থেকে স্টুডেন্ট ক্যাটাগরিতে এক বছর মেয়াদে একটি ল্যাপটপ কিস্তিতে ক্রয় করি,এখনো আমার এক বছর মেয়াদ পূর্তি হয়নি। আমি তাদের কিস্তি ঠিক মতোই চালিয়ে যাচ্ছি, সেলসম্যান জুয়েল আমাকে ফোন দিয়ে বলে আপা কিস্তির টাকাটা লাগবে, আমি বলি জুয়েল ভাই আমি বেতন পেয়ে আপনাকে ফোন করে প্রতি মাসের মতই দিয়ে দিব। সেলসম্যান জুয়েল তখন বলে আজকে আপনাকে টাকা দেওয়া লাগবে নইলে আমার টিম নিয়ে আপনার বাড়িতে যাবে। তখন আমি সময় চেয়ে জুয়েল ভায়ের কাছে বলি অক্টোবর মাসে আমার হাতের অবস্থা ভালো না একটু সময় দেন, জুয়েল বলেন সময় দেওয়া যাবে না বলে ফোন কেটে দেয়।আনুমানিক দুপুর দুইটা থেকে আড়াই টার মধ্যে ৫/৭ জন নিয়ে আমার বাসায় হাজির, এসে বলেন টাকা দেন নয়লে ল্যাপটপ দেন।এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হতেই ল্যাপটপ নিয়ে কাড়াকাড়ি।এক পর্যায়ে আমার পুত্রবধূকে ধাক্কাধাক্কি দিয়ে মাঠিতে ফেলে দেয় । আমার ছেলে তামিম বাধা দিলে হাতাহাতি শুরু হয় এবং ওয়ালটন ম্যানেজার কলম/রড দিয়ে আমার ছেলের ডান চোখে আঘাত করে । ঘটনাস্থলে তার চোখ দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। তখন আমার ছোট ছেলে চিৎকার করলে তারা ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যাই। তাৎক্ষণিক আমার ছেলেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার বড় ছেলে তামিমকে নিয়ে তিন দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বুধবার ৪ অক্টোবর রাজপাড়া থানায় এসে ওয়ালটন অফিস কর্মচারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগ নেয়ার পর থানার অফিসার ইনচার্জ আমাকে বলেন আপনি মীমাংসা করে নেন। আমি বলেছি আমার ছেলেকে তারা জখম করছে। মীমাংসা আমি করবো না আমি আইনি পদক্ষেপ নিব। তখন থানার ওসি আমাকে বলেন আপনি যেতে পারবেন না মিমাংসা ছাড়া। আমি ওয়ালটন অফিসের লোকজনকে ডেকেছি,আপনি বসেন বলে বের হয়ে যান তিনি। আমি এর আইনি পদক্ষেপ চাই। ম্যানেজার শাহ আলমকে ফোন দিলে বলেন তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে কথা বলতে পারবো না, আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টা দেখছেন। ওয়ালটনের এরিয়া ম্যানেজার(RM)বানিজ মিয়াকে মুঠোফোনে ফোন দিলে বলেন, আমি বিষয়টা শুনেছি কিস্তির টাকা আনতে গিয়ে কথা কাটাকাটির পর্যায়ে হাতাহাতি হয়, আমাদের এক কর্মীকে মারধর করেছে, একটা মোটরসাইকেলের হেডলাইট ভেঙেছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে একটা থানায় অভিযোগ করেছি। রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে মুঠো ফোনে ফোন দিলে রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।