রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ অপরাহ্ন

ঘাটারচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর অপহৃত ছাত্রী উদ্ধার এবং মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণ ও পাচার চক্রের মূল হোতা গ্রেফতার।

কেরানীগঞ্জ থেকে মোঃ ইমরান হোসেন ইমু।
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩
  • ৩০৪ বার পড়া হয়েছে

কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন ঘাটারচর শান্তিনগর টানপাড়া সাকিনস্থ দিদারুল আলম তার শশুর মোঃ নাজিম উদ্দিন এর বাড়ীর ৩য় তলায় স্ব পরিবারে বসবাস করে। ইং ১৪/০৫/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় দিদারুল আলম এর মেয়ে নুসরাত (১৪) স্কুলে যাওয়ার জন্য বাসা হইতে বাহির হইয়া কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন ঘাটারচর টানপাড়া ইনান মিয়ার বাড়ীর সামনে পৌঁছালে দিদারুল আলম এর শশুর বাড়ীর ভাড়াটিয়া ফারজানা ও তার স্বামী আমিন উদ্দিন বাদীর মেয়েকে ভুল বুঝাইয়া কৌশলে স্কুলের দিকে নিয়া যায়। ইনান মিয়ার বাড়ীর মহিলারা বিষয়টি দেখিতে পায়, আসামীদ্বয় ও দিদারুল এর মেয়ে একই বাড়ীতে বসবাস করতো বিধায় কাহারো কোন সন্দেহ হয় নাই। পরবর্তীতে ঐ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় দিদারুল আলম এর ছোট মেয়ে তাসমিম টিফিনের সময় বাসায় এসে জানায় তাহার বোন নুসরাত স্কুলে যায়নি। দিদারুল আলম সহ তার পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সকল স্থানে উক্ত মেয়েকে খোঁজাখুজি করার একপর্যায় নিচতলার ভাড়াটিয়ার রুমে খুঁজতে গেলে দেখে ভাড়াটিয়া ফারজানা ও তার স্বামী আমিন উদ্দিন বাসায় কেউ নাই এবং তাদের কোন মালামালও রুমের মধ্যে নাই। তখন প্রতিবেশী ইনান এর বাড়ীর মহিলাদের মাধ্যমে দিদারুল আলম। জানতে পারে ১৪/০৫/২০১৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় আসামীদ্বয়ের সহিত তাহার মেয়ে নুসরাতকে এক সঙ্গে বাড়ী হইতে বাহিরে যাইতে দেখিয়াছে। দিদারুল তাৎক্ষনিক আসামী আমিন উদ্দিন এর সহিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করিলে সে এই বিষয়ে কিছু জানেনা বলিয়া জানায় এবং মোবাইল ফোন বন্ধ করিয়া দেয়। পরবর্তীতে বিকাল ০৫:৩০ ঘটিকার সময় মোবাইল নম্বর ০১৭০৪-৯৯৬০৭১ হইতে দিদারুল আলম এর ছোট বোন শাহিনা আক্তার এর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ০১৭৬৪-৭৭৭৪৭৫ তে কল করিয়া দিদারুল আলম এর মেয়ে নুসরাতকে ভয়ভীতি দেখাইয়া দিদারুল আলমের বোনের সহিত কথা বলায় যে, * তাহার মেয়েকে খোঁজাখুজি করলে বা থানা পুলিশ করিলে মেয়ের লাশ পাইবা, মেয়েকে পাইতে হলে আসামীদের ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা দিতে হবে”। এই বলিয়া মোবাইল ফোন কাটিয়া দেয়। এরপর হইতে উক্ত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। দিদারুল আলমের এমন লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অফিসার ইনচার্জ কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার মামলা নং ৬০(৫) ২৩ রুজু করেন। জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান, পিপিএম (বার) পুলিশ সুপার, ঢাকা স্যারের দিক নির্দেশনায়, কেরাণীগঞ্জ সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শাহাবুদ্দীন কবীর, বিপিএম এর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস অভিযানিক দল খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অপহৃত ভিকটিম নুসরাত কে উদ্ধার করে এবং নিম্নে উল্লেখিত মুক্তিপন আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণকারী মূল হোতা ফারজানা আক্তারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত আসামী পুলিশ রিমান্ডের আবেদন সহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী ফারজানা আক্তার ও তার স্বামী আমিন উদ্দিন পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অপহরন ও মুক্তিপন দাবির একাধিক মামলা রয়েছে। মামলা রুজু হওয়ার পর পুলিশের তরিৎ অভিযান, ভিকটিম উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতার করায় এলাকায় স্বস্তি ফিরিয়া আসিয়াছে।

গ্রেফতারকৃত আসামি একজনঃ-

১) ফারজানা আক্তার (২৯), পিতা-আনোয়ার হোসেন, মাতা-হুসনে আরা, স্বামী আমিন উদ্দিন, স্থায়ী ঠিকানা পশ্চিম মাহিমপুর, থানা-দোয়ারা বাজার, জেলা-সুনামগঞ্জ, বর্তমান ঠিকানা-ঘাটারচর শান্তিনগর নাজিম উদ্দিনের বিল্ডিং এর নিচ তলার পশ্চিম পাশের ফ্লাটের ভাড়াটিয়া, থানা-কেরানীগঞ্জ মডেল, জেলা-ঢাকা।

মোহাম্মদ মামুন অর-রশিদ, পিপিএম বিপি- ৭৫990423৬০ অফিসার ইনচার্জ কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা, ঢাকা।

আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের শেষে আসামীদের কোর্টে প্রেরন করা হয়েছে ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর