কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা মোঃ ইমরান হোসেন ইমুঃ
প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে স্মার্ট পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনার করে অপরাধ ও নজরদারি নিশ্চিত করতে সমস্ত কেরানীগঞ্জকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় এই সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকায় একটি কনভেনশন সেন্টারে সিসি ক্যামেরা স্থাপন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মাকসুদুর রহমান প্রধান অতিথির হাতে ১০ কোটি টাকার চেক তুলে দেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম মামুন সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ ।অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর শাহ খুশী, সাকুর হোসেন সাকু, সাইদুর রহমান চৌধুরী ফারুক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী স্বাধীন শেখ প্রমুখ। দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহ-জামানের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন । কেরাণীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাবুদ্দিন কবীর বলেন, কেরাণীগঞ্জ একটি উন্নয়নশীল এলাকা। আবাসনের পাশাপাশি এখানে প্রচুর শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এই এলাকায় ভাসমান লোকের সংখ্যা বেশি। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা পুরো কেরাণীগঞ্জ এলাকাটিকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করি। সেই অনুযায়ী আমরা প্রাথমিকভাবে একটি প্রকল্প হাতে নিই। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুকে জানালে তিনি আমাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। সেই অনুযায়ী পুরো কেরানীগঞ্জকে ২০০টি সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা হয়। এক্ষেত্রে প্রায় ৫ কোটি টাকার একটি বাজেট ধরা হয়। কেরাণীগঞ্জের আমাদের আওতায় মোট ৫টি ইউনিয়নকে ৪টি জোনে ভাগ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই সিসি ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হবে। তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত এলাকাগুলোতে মাদক কেনাবেচার একটি হাব রয়েছে। ব্যবসায়ী এলাকা হওয়ায় ছিনতাই, চুরি এবং ডাকাতির ঘটনাও প্রায়শই ঘটে থাকে। তাই এই পুরো এলাকাকে নিরাপদ রাখতে এই সিসি ক্যামেরারগুলোর মাধ্যমে নজরদারি করতে আমাদের খুব সুবিধা হবে। তাছাড়া কোন অপরাধ সংঘঠিত হয়ে থাকলে সিসি ক্যামেরা দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করাও অনেক সহজ হবে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিস্থিতি ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় এই পরিকল্পনা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, গাড়ি পোড়ানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হচ্ছে, এসব ঘটনাও নিয়মতি নজরদারিতে রাখতে পুরো এলাকাটি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা দরকার