১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার, মাদক উদ্ধারসহ দেশের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন এবং জনসাধারণের জান-মাল রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
২। গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ হতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিএনপি/জামায়ত এর নেতাকর্মীরা অবরোধের নামে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাস, ট্রাক, সিএনজি, লেগুনা, এ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন পরিবহন ভাংচুর ও ককটেল নিক্ষেপ/দাহ্য পদার্থ দ্বারা বাসে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এমনকি গত ২৮/১০/২০২৩ খ্রিঃ তারিখের নারকীয় তান্ডবে একজন পুলিশ কনস্টেবলকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যাসহ সারা দেশে ব্যাপক নাশকতা শুরু করে।
৩। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ দুপুরে ও রাতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার রাজধানীর মতিঝিল, চকবাজার, লালবাগ, কদমতলী এবং ফরিদপুরের কোতোয়ালী এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ডিএমপি ঢাকার চকবাজার থানার মামলা নং-৪২, তারিখ-৩১/১০/২০২৩ খ্রিঃ, ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইন, ধারাঃ ০৩/০৬, তৎসহ ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/
৪। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামী বিভিন্ন সময় নাশকতার পরিকল্পনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছে। এছাড়াও তারা ইতোপূর্বে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়দাবাদ, লালবাগ, কামরাঙ্গীচর এবং মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় গাড়ী ভাংচুর, বাসে অগ্নি সংযোগসহ বিভিন্ন প্রকার নাশকতা মূলক কার্যক্রমের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল বলে জানা যায়।
৫। গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।