গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
‘স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে একটি সমিতি গঠন করে বিএনপি। তার ডালপালা হলো বিএনপি-জামায়াত-শিবির। এটি কোন দল নয়, এরা একটি সমিতি মাত্র। জনগণ এদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণের মতো জনবল ও সাংগঠনিক দক্ষতা এদের নেই। জ্বালাও-পোড়াও, চোরাগোপ্তা হামলা করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করাই এদের মূল লক্ষ্য। স্বাধীনতা পরবর্তী জনবিচ্ছিন্ন ন্যাপ সহ বিভিন্ন অসাংগঠনিক দলের মতো বিএনপি এর অবস্থা। এরাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠী সপ্তপল্লী ইদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে কাঠী ইউনিয়ন অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের ৮ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, আধুনিক গোপালগঞ্জের রূপকার শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে, বাংলাদেশের জন্ম হতো না। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে পারতাম না। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল মদদদাতা। জিয়া বেঁচে থাকলে তারও ফাঁসি হতো। ১৫ আগস্টের মতো আর কোন ঘটনা এদেশে ঘটতে দেওয়া হবে না। দেশের জনগণ আসন্ন নির্বাচনে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ভরসার আশ্রয়স্থল আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে জনগণ আবারও আওয়ামী লীগ সরকারকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে ক্ষমতায় বসাবে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচ্চু শেখের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান পিয়াজুলের সঞ্চালনায় নির্বাচনী জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি.এম সাহাব উদ্দিন আজম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক সিকদার, গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কবির, সাধারণ সম্পাদক মো: আলিমুজ্জামান বিটু প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ হোসেন দিপু, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম মিটু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও গোপালগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের (জিইউজে) সভাপতি সৈয়দ মুরাদুল ইসলাম সহ জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা
কর্মী।