মুবিন বিন সোলাইমান রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এর ফুফু হাজেরা খাতুন ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাত আটটার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের সিপাহী পাড়া গ্রামের স্বামীর বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে ৩ মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় সহস্রাধিক মুসল্লিদের উপস্থিতিতে সরফভাটা মেহেরীয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে মরহুমার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় পরে সরফভাটা কেন্দ্রীয় খবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, তিনি উপজেলার পদুয়া ইউনিয়ন সুখবিলাস গ্রামের এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া আলী আহমদ তালুকদার ও রহমজান বিবি দাম্পত্যের দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে ২য় সন্তান। মুক্তিযুদ্ধ ও ৭৫ পরবর্তী সময়ের চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের অন্যতম সংগঠক প্রখ্যাত আইনজীবী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পিতা অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. গোলাম কবির তালুকদারের বোন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একমাত্র ফুফু।
আপন ফুফু হাজেরা খাতুনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের সংবাদে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
মরহুমার প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জন্মের পর থেকে আমাদের কোলে পিঠে মানুষ করার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখা ফুফু হাজেরা খাতুন একজন সমাজ হিতৈষী নারী ছিলেন এবং সমাজে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে আমৃত্যু অবদান রেখে গেছেন। মহান আল্লাহর কাছে মায়ের মতো ফুফুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, এই রত্নগর্ভা মা’এর বড় ছেলে শিক্ষানুরাগী কবি আবদুর রউফ মাষ্টার, তিনি সরফভাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ও সরফভাটা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ নানা সামাজিক এবং সমাজ বিনির্মাণ কর্মে যুক্ত রয়েছেন।
এছাড়াও ফুফুর মৃত্যুতে পৃথক পৃথক শোক বার্তা দিয়েছেন মরহুমার ভাতিজা/ভাতিজি, চ্যানেল আইয়ের পরিবর্তন নায়ক উপাধিত এরশাদ মাহমুদ, এন.এন.কে ফান্ডেশনের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, বেলজিয়ামে প্রবাসী চাকরিজীবী মোরশেদ মাহমুদ, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ওয়াহিদ রায়হান ইফতেখার মাহমুদ, ডাক্তার আইরিন সুলতানা, শিক্ষিকা ফারহানা সাবরিনা (জুঁই) এবং আইনজীবী শেহরীন আফছানা (চৈতী)। মরহুমার মৃত্যুতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।