১। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে ।
২। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৬/০৩/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ভোর ০৪:০০ ঘটিকা হতে সকাল ১০:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন যাত্রাবাড়ী মৎস্য আড়তে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় জেলা মৎস্য অধিদপ্তর এর জেলা মৎস কর্মকর্তার উপস্থিতিতে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লেখিত এলাকায় জাটকা ইলিশ ও জেলিযুক্ত চিংড়ি সংরক্ষন ও বিক্রয় করার অপরাধে ০৭ টি প্রতিষ্ঠানে সর্বমোট ১৮,০০,০০০/- (আঠারো লক্ষ টাকা) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। যার মধ্যে ১। ঋত্বিক ফিস নগদ- ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, ২। রাজলক্ষ¥ী মৎস আড়তে নগদ- ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, ৩। সর্দার এন্ড কোং নগদ- ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা, ৪। দয়াল মৎস আড়তে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ৫। বিসমিল্লাহ ফিস নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ৬। রুদ্র এন্টারপ্রাইজে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ৭। বুড়িগঙ্গা মৎস আড়তে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত আনুমানিক ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা মূল্যের ৫৬৬ কেজি জাটকা ইলিশ ও ৫৩৭ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জব্দকৃত জাটকা ইলিশ বিনামূল্যে এতিম খানায় দান করেন এবং জেলিযুক্ত চিংড়ি ধ্বংস করেন।
৩। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা জাটকা ইলিশ ও জেলিযুক্ত চিংড়ি সংরক্ষন এবং বিক্রয় করে আসছিল।