গত ২২/০৪/২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ০৬:৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা (৩২) তার বসবাসরত পিতার বাড়ীর নিকটবর্তী একটি দোকানে চা পাতা ও চিনি কিনতে যায়। চা পাতা ও চিনি কিনে তার বাসায় ফিরে আসার সময় আসামি ফিরোজ শেখ একই তারিখ আনুমানিক ০৬:৪৫ ঘটিকার সময় তার অটোভ্যানে করে ভিকটিমকে তার বাড়ীতে পৌছে দেওয়ার কথা বলে অটোভ্যানে তুলে নিয়ে ঘটনাস্থল ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানাধীন কৃষ্ণনগর এলাকার একটি মাঠে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে একই তারিখ আনুমানিক ০৭:৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানায় ধর্ষক ফিরোজ শেখের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৭০, তারিখ-২৭/০৪/২০২৪ইং, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং/০৩) এর৭/ ৯(১)। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে ফিরোজ শেখ আত্মগোপনে চলে যায়।
ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল চাঞ্চল্যকর মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে অপহরণপুর্বক ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষণ ফিরোজ শেখকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২৯ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক বিকাল ১৭:৫০ ঘটিকায় র্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানাধীন পরমানন্দপুর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালি এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে অপহরণপুর্বক ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক একমাত্র আসামি মোঃ ফিরোজ শেখ (৩৬), পিতা-অজিদ শেখ, সাং-কৃষ্ণনগর, থানা-কোতোয়ালি, জেলা-ফরিদপুর’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত ভিকটিম মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে অপহরণপুর্বক ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। সে মামলা রুজুর পর হতে নিজেকে আইনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”ফরিদপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে ধর্ষণ” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার একমাত্র পলাতক আসামি ফিরোজ শেখ’কে মামলার ৭২ ঘন্টার মধ্যে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।