গত ০৫/০৮/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাত আনুমানকি ১৯:৩০ ঘটিকায় রাজধানীর লালবাগ থানাধীন ৭১ নম্বর হোসেন উদ্দিন খান ১ম লেনের একটি রাস্তায় পাশে কিশোর গ্যাং দুষ্কৃতিকারীরা বেশ কয়েকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র (চাপাতি, লোহার রড, হকি-স্টিক ও লাঠি-সোটা) নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পূর্বশত্রæতার জের ধরে মোঃ রাজু আহমেদ (২১)’কে তাদের হতে থাকা অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে গুরুতর ও রক্তাক্ত জখম করে। অতঃপর তারা আনন্দ উল্লাস করতে করতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। উক্ত ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ভিকটিম রাজুকে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডস্থ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম রাজুকে মৃত ঘোষনা করেন। উক্ত ঘটনায় মৃত ভিকটিম রাজুর বাবা আব্দুল মালেক (৬৯) বাদী হয়ে রাজধানীর লালবাগ থানায় চাঞ্চল্যকর রাজু হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত পলাতক প্রধান আসামী রাতুলসহ ০৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০২, তারিখ-০৫/০৯/২০২৪ খ্রি, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে উক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত সকল আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়।
উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল হত্যাকান্ডে জড়িত সকল আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ৩০/১০/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ মাঝরাত আনুমানিক ০২:১৫ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা ও র্যাব-১৪ এর সহযোগীতায় ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানাধীন রামগোপালপুর এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে রাজধানীর লালবাগ এলাকায় চাঞ্চল্যকর রাজু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত এজাহারনামীয় পলাতক প্রধান আসামী কিশোর গ্যাং নেতা ১। রাতুল (২১), পিতা- কানা আনিস, সাং- বড়গ্রাম, থানা-কামরাঙ্গীরচর, জেলা-ঢাকা এবং উক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত তার অপর দুই সহযোগী ২। নাঈম (২১), পিতা-মোঃ জাহিদ, সাং-কামরাঙ্গীরচর বড়গ্রাম, থানা-কামরাঙ্গীরচর, জেলা-ঢাকা ও ৩। মোঃ আল-আমিন (২০), পিতা-মোঃ রমজান আলী, সাং-পুরাহাটি, থানা-কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা উক্ত হত্যাকান্ডে তাদের সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, লালবাগসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় রাতুলের নেতৃত্বে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ইত্যাদিসহ আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসাছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।