রাজধানীর যাত্রবাড়ী এলাকায় বসবাসকারী মো: মাহাবুব দিনমজুরী করে তার জীবিকা নির্বাহ করতো। গত ৩০/০৮/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ১৮:০০ ঘটিকায় ভিকটিম মাহাবুব কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। এরপর মাহাবুব তার এক বন্ধুর সাথে কদমতলী থানাধীন মুরাদপুর হাই স্কুলের সামনে একটি বাসায় যায়। একই সময়ে উক্ত ঘটনাস্থলে পূর্ব হতে ওৎ পেতে থাকা আসামী মোঃ শাহাব উদ্দিন (৩৬), পিতা-মৃত এমদাদ হোসেন, সাং-মুরাদপুর হাই স্কুল রোড, থানা-কদমতলী, জেলা- ঢাকাসহ অপরাপর আসামীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অতর্কিতভাবে চাইনিজ কুড়াল, সুইচ গিয়ার চাকু ও কিরিচ দিয়ে ভিকটিম মাহাবুবকে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে। এরপর শাহাব উদ্দিনসহ অপর আসামীরা গুম করার উদ্দেশ্যে মাহাবুবকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় কদমতলী থানাধীন পাটেরবাগ এলাকায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম মাহাবুবের পরিবার খবর পেয়ে উক্ত স্থানে গিয়ে মাহাবুবের রক্তাক্ত গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। উক্ত ঘটনায় মৃত ভিকটিম মাহাবুবের ভাই মোঃ ফজর আলী বাদী হয়ে রাজধানীর কদমতলী থানায় শাহাব উদ্দিনসহ ০৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০১, তারিখ-০১/০৯/২০২৪ খ্রিঃ ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে শাহাব উদ্দিনসহ অন্যান্য আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়।
উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গতকাল ০৮/১২/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৭:১০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন তেঘরিয়া এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে চাঞ্চল্যকর দিনমজুর মাহাবুব হত্যা মামলার প্রধান আসামী মো: শাহাব উদ্দিন’কে (৩৬) গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডে তার সরাসরি সম্পৃক্তার সত্যতা স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।