১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন কিশোর গ্যাং গ্রæপের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। র্যাবের এই আভিযানিক কার্যক্রম ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
২। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং কালচার সারাদেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে কিশোররা জড়িয়ে পড়ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরণও পাল্টে যাচ্ছে যেমন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা ও নাশকতা থেকে শুরু করে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোররা। র্যাব উক্ত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে কিশোর গ্যাং নির্মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালান করে আসছে।
৩। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে কিশোর গ্যাং এর ০৪ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের নাম ১। মোঃ রবিউল মোল্লা (২৩), পিতা-মোঃ কাদের মোল্লা, সাং-ইটেরপুল, থানা-মাদারীপুর সদর, জেলা-মাদারীপুর, ২। মোঃ জাবেদ হাওলাদার (২৩), পিতা-মোঃ জালাল হাওলাদার, সাং-শ্রীরামপুর, থানা-দুমকি, জেলা-পটুয়াখালী, ৩। মোঃ তাছিন (১৮), পিতা-মোঃ সিদ্দিক বেপারী, সাং-চরমৈরা, থানা-মাদারীপুর সদর, জেলা-মাদারীপুর ও ৪। মোঃ রবিউল মীর (১৮), পিতা-মোঃ মজিদ মীর, সাং-জয়পাড়া, থানা-বেগমগঞ্জ, জেলা-শরীয়তপুর বলে জানা যায়। এ সময় তাদের নিকট হতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহৃত ০১টি সুইচ গিয়ার চাকু ও ০৩টি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
৪। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা কিশোর গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ ঢাকার কেরানীগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চাকু/ছুরির ভয় দেখিয়ে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, পাড়া মহল্লায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল।
৫। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।