সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শয্যা সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি গরীব রোগীর সেবার মান

সম্পাদক, দৈনিক টুঙ্গিপাড়া
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শয্যা সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি গরীব রোগীর সেবার মান । ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা এবং পরবতীতে ১০০ শয্যা বাড়লে ও বাড়েনি প্রযোজনীয় ডাক্তার নার্স সহ জনবল । চালু হয়নি  ওটি সুবিধা । গরীব রোগীকে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য ডাক্তার দের ৫০% কমিশন ভুক্ত দালালদের ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে যেভাবে হেনাস্থা হতে হয় তেমনি সিজারিয়ান , নরমাল ডেলিভারী, এ্যাপেনটিসাইট , হার্নিয়া সহ ছোট খাটো সব ধরনের চিকিৎসার জন্য ও দৌড়ঝাপ করতে হয় ডাক্তার বা দালালদের কমিশন ভুক্ত ক্লিনিক গুলোতে । আর প্রায়শই গরীব রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন আর্থিক ভাবে এবং ভোগেন অপচিকিৎসায় । ডিগ্রি না থাকলেও ডিগ্রিসহ চটকদারী বিজ্ঞাপন যেমন , গাইনী, প্রসূতী , সার্জন, মেডিসিন , চর্ম ও যৌন, অর্থপেডিক্স ইত্যাদি  আর দালাদের খপ্পরে পরে সর্বশান্ত হচ্ছেন গরীব রোগীরা । হাসপাতালের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী নামে বেনামে যুক্ত রয়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানের সহিত তাই হাসপাতালের সকল সুযোগ সুবিধা থাকলেও বন্ধ রাখা হয় সুবিধা সমুহ । প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে দালাদের দৌরাত্ন রয়েছে যাদের কে দালাল বলা হয় তারা সবাই কোন  না কোন প্রতিষ্ঠানের বেতন ভুক্ত কর্মচারী ,  যেমন  টুঙ্গিপাড়া প্যাথলজি সেন্টার এ রয়েছে -০১ জন , নিউ মধুমতি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক এ রয়েছে -৮ /১০ জন , মক্কা সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার রয়েছে এ – ৭ /৮ জন , মদিনা প্যাথলজিতে রয়েছে -৫/৬ জন , ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এ রয়েছে  -৪/৫জন , জননী ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এ রয়েছে -৪/৫ জন। টুংগীপাড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক এ রয়েছে  -৩/৪ জন  এছাড়া ও হাসপাতালের কিছু স্টাফ ও সরাসরি দালালি পেশায় যুক্ত  ।  হাসপাতালটি যখন ৩১ শয্যা ছিল তখন ডাঃ পবিত্র কুমার কুন্ডু এবং ডাঃ কাইয়ুম তালুকদার নামে মাত্র কিছু টাকা নিয়ে গরীব রোগীদের সেবা দিতেন । তখন প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ১০ টি ওটি হত । যা গরীব মধ্যবৃত্ত রোগীরা সামন্য ব্যয়ে ওটি সহ সকল সুযোগ সুবিধা পেতেন । হাসপাতাল টিতে ওটি সহ সকল সুযোগ সুবিধা পুরোপুরি চালু হলে গরীব ও মধ্যবৃত্ত রোগীরা উপকৃত হতেন । সেই সাথে যে সকল  কর্মচারী গন বিতর্কিত তাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে  দালালদের দৌরাত্র দুর করতে পারলে  এবং ওটি সহ সকল  চিকিৎসা সেবা চালু থাকলে গড়ীব রোগী সহ সাধারণ জনগন উপকৃত হতেন । কতৃপক্ষের সুদৃষ্টিই  কেবল পারে গরীব রোগী সহ সাধারণ জনগনের চিকিৎসা সেবার সুযোগ সৃষ্টি করতে ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর