সম্প্রতি রেলমন্ত্রী কে নিয়ে তোলপার বাংলাদেশ । অপরাধীর কাঠগড়ায় রেলমন্ত্রী আর ফেরেস্তাতুল্য টিটি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এমন ঘটনা আবেগী বাংলাদেশীর আনন্দের খোরাগ যুগিয়েছে । কিন্তু ভেবে দেখা হয়নি একবার ও যে মশা মারতে কামান দাগান হচ্ছে । মনে হয়নি একবার ও যে দুর্নীতি গ্রস্ত রেল প্রশাসন হঠাৎ ফেরেস্তা হয়েগেছে । একজন পিয়ন চাপরাশী হয়েও তার চৌদ্দগুষ্ঠি সরকারী সুযোগ সুবিধা নিয়ে থাকেন অথচ একজন মন্ত্রী তার তিন জন আত্নীয় কে সুযোগ দেওয়ায় টিটি বাহ বাহ কুড়ানোর জন্য এমন ফেরেস্তা সেজেছেন । খোজ করলে হয়ত বা পাওয়া যেতে পারে যে ঐ টিটির চৌদ্দগুষ্ঠি কোন দিন টিকিট কেটে রেলে ভ্রমন করেননি বা টিটির বৈধ আয়ের চেয়ে তার অবৈধ আয় অনেক বেশি । আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত ।রেল প্রশাসন রাতারাতি ফেরেস্তা হয়ে যান নি তাদের দুর্নীতি ঘাটলে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে । কিন্তু ঐ ৩ যাত্রীর ভাড়া নিশ্চয় কোটি কোটি টাকা নয় । তো সামান্য অপরাধে একজন মন্ত্রীর পরিবারের সম্মান ধূলায় মিশানো টিটি কতটা দুর্নীতি মুক্ত ? বাংলাদেশ রেল প্রশাসন এখনো এমন দূর্নীতি মুক্ত হননি । তাই এমন নাটকের পিছনে নিশ্চয় কোন কারন খুজে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় । তদন্ত সাপেক্ষে খুজে দেখা উচিত ঐ টিটি দুর্নীতি মুক্ত না দুর্নীতি যুক্ত । যদি দুর্নীতি যুক্ত হয় তবে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত । আর যদি দুর্নীতি মুক্ত হন তবে তিনি বাহ বাহ এর যোগ্য এবং পুরুষ্কার তার প্রাপ্য । আমরা চাই সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি মুক্ত হোক আর দুর্নীতি যুক্তরা শাস্তি পাক ।